শিক্ষা জীবনে ইন্টারনেটের গুরুত্ব

শিক্ষা-জীবনে-ইন্টারনেটের-গুরু

সারাবিশ্বে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে শিক্ষা জীবনে ইন্টারনেটের গুরুত্ব অভূতপূর্ব। কারণ ইন্টারনেট ব্যবহার করে শিক্ষার্থীরা তাদের পাঠের গুরুত্বপূর্ণ অংশ বা পাঠের সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্বন্ধে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি, উপাদান ও উপকরণ সংগ্রহ করতে পারে।

ইন্টারনেটের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীরা নিজেদের ঘরে বসেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য সংগ্র করতে পারে। এছাড়া শিক্ষার্থীরা অনলাইনে বিভিন্ন দেশের বড় বড় লাইব্রেরিতে প্রবেশ করে সেখানকার বইয়ের তালিকা ও কপির সংখ্যা মুহূর্তের মধ্যে জানতে পারে এবং মূল্যবান বইপত্র সংগ্রহ ও অধ্যায়ন করতে পারে।

আজকাল অনলাইনে ঘরে বসেই বিশ্বের নামী-দামী বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কোর্সে অংশ গ্রহণ করার সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে। অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইন্টারনেট ব্যবহার করে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে ক্লাস নিয়ে থাকে।

ফলে ছাত্র-ছাত্রীরা শ্রেণিকক্ষে না গিয়ে বাসায় বসে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ক্লাসে অংশ নিতে পারছে। অর্থাৎ, ইন্টারনেটের ব্যবহার ছাড়া বর্তমানে লেখাপড়া করা কঠিন।

শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার

বর্তমানে আমাদের দেশের শিক্ষার্থীদের হাতে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট কিংবা স্মার্টফোন ইত্যাদি চলে এসেছে। অনলাইনে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার উপযোগী কনটেন্ট এর পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই কোনো শিক্ষার্থী অনলাইনে কোন কিছু অধ্যয়ন করতে চাইলে অবশ্যই ইন্টারনেট সংযোগ প্রয়োজন।

শিক্ষার্থীদের শিক্ষণীয় অনেক বিষয় ইন্টারনেটে পাওয়া যায়। কোনো শিক্ষার্থী পড়ালেখা করতে করতে কোনো একটা বিষয় বুঝতে না পারলে সে যদি ইন্টারনেটে সেটি অনুসন্ধান করে তবে নিশ্চিতভাবে বলা যায় সে তার উত্তরটি কোনো না কোনোভাবে পেয়ে যাবে।

কোনো শিক্ষার্থী যদি কোন নির্দিষ্ট বিষয় শিখতে চায় কিংবা জানতে চায় তাহলে সে ইন্টারনেটে সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় তথ্য খুঁজে বের করতে পারবে। গণিত, বিজ্ঞানসহ প্রায় সকল বিষয়ের গ্রুপ ইন্টারনেটে রয়েছে, ফলে তাদের নিকট যেকোনো প্রশ্ন দেওয়া হলে তারা উত্তর দিতে পারবে। তাই আমরা বলতে পারি শিক্ষাক্ষেত্রে ইন্টারনেট একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

ভবিষ্যতে ইন্টারনেট বা আইসিটিবিহীন একটি দিনও কল্পনা করা সম্ভব নয়

বর্তমানে সারাবিশ্বে আইসিটির সর্বমুখী ব্যবহারের কারণে কোনো প্রতিষ্ঠানের কর্মী হিসেবে যোগ দেওয়া কিংবা নিজেই একটা প্রতিষ্ঠান তৈরি করা উভয় ক্ষেত্রে আইসিটিকে এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না।

কারণ ভবিষ্যতে আইসিটির উপাদান যেমন-কম্পিউটার, ইন্টারনেট, ই-মেইল, অফিস সফটওয়্যার, সামাজিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে প্রাথমিক দক্ষতা না থাকলে চাকরি পাওয়া খুব কঠিন হবে।

বর্তমানে শিক্ষা ব্যবস্থা অনেকটা আইসিটি নির্ভর হয়ে গেছে। কারণ কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ব্যবহার করে শিক্ষার্থীরা তাদের পাঠের গুরুত্বপূর্ণ অংশ বা পাঠের সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্বন্ধে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি, উপাদান ও উপকরণ সংগ্রহ করতে পারে, ইন্টারনেটের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীরা নিজেদের ঘরে বসেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করতে পারে।

এছাড়া শিক্ষার্থীরা অনলাইনে বিভিন্ন দেশের বড় বড় লাইব্রেরিতে প্রবেশ করে সেখানকার মূল্যবান বইপত্র সংগ্রহ ও অধ্যায়ন করতে পারে। আজকাল কোর্সে অংশ গ্রহণ করার সুযোগ পাচ্ছে।

ছাত্র-ছাত্রীরা শ্রেণি কক্ষে না গিয়ে বাসায় বসে ইন্টারনেটে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে ক্লাসে অংশ নিতে পারছে। আইসিটির ব্যবহারের কারণে সারা বিশ্ব হাতের মঠোয় চলে এসেছে। ব্যবসা-বাণিজ্য, যোগাযোগ, কর্মসংস্থান, চিকিৎসা, গবেষণাসহ প্রায় সকল ক্ষেত্রে আইসিটির ব্যবহার ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অর্থাৎ ভবিষ্যতে আইসিটিবিহীন একটি দিনও কল্পনা করা সম্ভব নয়।

বাংলাদেশে তথ্য প্রযুক্তির সম্ভাবনা

বিশ্বে সফটওয়্যার তৈরির সবচেয়ে বড় প্রতিযোগিতা হলো ‘মাইক্রোসফট ইমাজিন কাপ’ 2003 সাল থেকে শুরু হলেও গত বছর থেকে এতে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ। আর দ্বিতীবারের মতো এতে অংশ নিয়েই বিম্ব জয় করল বাংলাদেশের মেধাবী ছাত্ররা।

নিউ ইর্য়কে অনুষ্ঠিত এবারের চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় ‘পিপলস চয়েস’ বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশের আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠিত টিম র‌্যাপচার, নামের দল।

দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের চলাফেরা, পড়াশোনা, ইন্টারনেট ব্যবহার এবং বিনোদনে সহায়তা করার লক্ষ্যে এ সফটওয়্যারটি তৈরি করা হয়। সফটওয়্যারটি দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের যাতায়াতে দিক-নির্দেশনা, দুর্ঘটনা ঘটলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনজনদের জানানো, আশেপাশের গুরুত্বপূর্ণ স্থান সম্পর্কে অভিহিত করা, ফেইসবোক ব্যবহার করা,

ইন্টারনেটে তথ্য খোঁজ করা, উইকিপিডিয়া পড়ে শোনানো এবং কোনো কিছু উইকিপিডিয়া থেকে খুঁজে বের করার মতো কাজ করবে। সফটওয়্যারটির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের যাতায়াতে সাহায্য করা।

এটি মোবাইলের জিপিএস এবং ডিজিটাল কম্পাস ব্যবহার করে মাইক্রোসফট বিং ম্যাপ থেকে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের বর্তমান অবস্থান এবং যেই পথ দিয়ে গন্তব্যে পৌছাতে হবে সেটি নির্ধারণ করে দিতে পারে।

সুতরারং এ কথা সহজেই অনুমেয় যে, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নির্ভর ডিজিটাল কনটেন্ট আমাদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছে। এই কনন্টেন ব্যবহার করে বাংলাদেশের মানুষ সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পৃথিবীকে এক উন্নতর অবস্থানে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

আরও পড়ুন

শিক্ষা জীবনে ইন্টারনেটের গুরুত্ব শিক্ষা জীবনে ইন্টারনেটের গুরুত্ব Reviewed by Techbidda on বুধবার, ফেব্রুয়ারী ০৯, ২০২২ Rating: 5

কোন মন্তব্য নেই:

Blogger দ্বারা পরিচালিত.