কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কি
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বৈশিষ্ট্য
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial intelligence) হল কম্পিউটার বা যন্ত্র চালিত বুদ্ধিমত্তা। পৃথিবী যতই উন্নত হচ্ছে মানুষ ততই যন্ত্র নির্ভর হয়ে যাচ্ছে। মানুষের প্রয়োজন মেটাতে সেই সমস্ত যন্ত্র পাতি সমূহে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগ করা হচ্ছে যার ফলে মানুষের জীবন যাপন আরও সহজ হয়ে গিয়েছে।
বর্তমান সময়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা (AI) নিয়ে গবেষণা করার জন্য বিশ্বের বড় বড় কোম্পানি গুলো মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার ব্যায় করছে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগ করে Facebook, Google ও আরও অনেক কম্পানি তাদের বিজ্ঞাপন প্রছার করছে। আমরা সবাই একটা জিনিস লক্ষ্য করলে দেখতে পারব যেই সমস্থ বিষয় নিয়ে আলোচনা করি বা কোন কিছু কিনার জন্য যেই ধরনে দোকানে যাওয়া হয় ফেইসবোকে বা ইউটিউবে সেই সমস্থ বিষয়ের বিজ্ঞাপণ দেখাচ্ছে।
আমাদের কোন জিনিস প্রয়োজন বা আমরা কি কিনতে চাই তা ফেইসবোক ও গুগল কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে জানতে পারে এবং সেই সমস্ত জিনিসের বিজ্ঞাপন আমাদের দেখায়।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কিভাবে কাজ করে
অ্যালান টুরিং কে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জনক বলা হয়। পরবর্তিতে আরও অনেক বিজ্ঞানী ও প্রোগ্রামার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial intelligence) উন্নত করে চলছে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হলো কম্পিউটারের প্রোগ্রাম যা তার পূর্বে সংরক্ষিত করে রাখা তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে বর্তমান সময়ের কোন প্রশ্ন বা যুক্তির সমাধান দিয়ে থাকে।
কম্পিউটারের এই কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার প্রোগ্রাম কে যতই তত্ব্য দেওয়া হবে ততই তা শক্তিশালী হবে। এমন একটা সময় আসবে যখন মানুষের কোন কাজ করতে হবে না।
এআই বিশেষজ্ঞরা বাস্তবায়ন করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করছেন। এআই গবেষকদের একটি দল বলেছে, ২০৪০-২০৫০ এর মধ্যে এটি ৫০% বিকাশ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে অথবা ২০৭৫ সালের মধ্যে ৯০% বিকাশের সম্ভাবনা রয়েছে।
নিকট ভবিষ্যতে বিশ্ব হবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সময়। মানুষ আরও আরামপ্রিয় হয়ে উঠবে। বিজ্ঞানীরা ধারনা করছেন, নিকট ভবিষ্যতে সব কিছুই যান্ত্রিক হয়ে যাবে ।
মানুষের প্রয়োজন কমে আসবে, সকল কাজ যন্ত্র দিয়েই করা হবে । ধারণা করা হচ্ছে তা মানব সমাজের জন্য হুমকি স্বরূপ।
সবকিছুর যেমন ভাল দিক রয়েছে তেমনি খারপ দিকও রয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে অনেক অস্ত্র তৈরি করা হচ্ছে। যেমন, চালক বিহীন বিমান, ড্রোন, রকেট।
এখন যুদ্ধ ক্ষেত্রে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্ত্বা সমস্ত অস্ত্র ব্যবহার করে বিপুল ধ্বংশ জজ্ঞ চালানো সম্ভব। যাদের কাছে এই সমস্ত ড্রোন রয়েছে যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে নিজে থেকেই লক্ষ্য বস্তুতে হামলা করতে পারে তারাই সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষকে অলস করে দিচ্ছে ফেক্টুরি গুলোতে এখন এমন ধরনের যান্ত্র পাতি ব্যবহার করা হয় যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে নিজে থেকেই সকল কাজ করে ফেলতে পারে।
ফলে দিন দিন ব্যকারত্বের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনেকেই মনে করে এমন এক সময় আসবে যখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাই সম্পূর্ন পৃথিবী শাসন করবে।
আপনাদের কি মনে হয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কি মানুষের জন্য মঙ্গলজনক নাকি ক্ষতিকারক। কমেন্টে জানিয়ে দিবেন।
আরও পড়ুন