App developer Apps তৈরি করে এডমোব থেকে কিভাবে আয় করে?
Apps তৈরি করে আয়
বর্তমান সময়ে অনলাইন থেকে আয় করার অনেক সহজ উপায় রয়েছে। তার মধ্যে App developer এর
আয় হচ্ছে সবচেয়ে বেশি।
একজন App developer নানা রকম উপায়ে অনলাইন থেকে আয় করতে পারে। স্মার্টফোন ব্যবহার কারীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, আর স্মার্টফোন চালাতে App এর প্রয়োজন পড়ে।
তাই এখন App developer এর চাহিদা প্রচুর। এবং যতই দিন যাবে এটার চাহিদা বৃদ্ধি পেতে থাকবে। তাই স্মার্ট পেশা হিসেবে অনেকেই App development কে বেছে নিচ্ছে। App এর মাধ্যমে আমরা আমাদের অনেক গুরুত্বপুর্ন্য কাজ খুব সহজেই করে ফেলতে পারি।
এখন প্রত্যেক কম্পানি তাদের সেবার মান উন্নত করার জন্য নিজেদের App তৈরি করছে। এবং ব্যবহার কারিরাও নানা রকম সুবিধা ভোগ করছে।
App কিভাবে তৈরি করা যায়?
বর্তমান সময়ের স্মার্টফোনে দুই ধরনের এপস বেশি ব্যবহার করা হয় ১. এন্ড্রয়েড অ্যাপস, ২. আইওএস অ্যাপস।
অ্যাপস তৈরি করার জন্য গুগলের অফিসিয়াল সফটওয়ার হচ্ছে এন্ড্রয়েড ষ্টুডিও। এন্ড্রয়েড ষ্টুডিওতে তিন ধরনের প্রোগ্রামিক লেংগুয়েজ ব্যবহার করে এপস তৈরি করা হয়।
1. XML
2. Jaba
3. Kateline
এছাড়াও আরও নানা রকম উপায়ে কোন প্রোগ্রামিক লেংগুয়েজ না শিখে খুব সহজে এপস তৈরি করা যায়। এর জন্য নানা রকম অয়েব সাইট রয়েছে, শুধু ড্রাগ এন্ড ড্রপ করে ওই সমস্ত অয়েব সাইট থেকে এপস তৈরি করা যায়। এই রকম কিছু অয়েব সাইট এর নাম নিছে দেওয়া হলো।
1. Appypie.com
2. Mobiroller.com
3. Gamesalad.com
4. Appsgeyser.com
5. Thunkable.com
6. Kodular.com
এই সমস্ত অয়েব সাইট থেকে মোটা-মোটি মানের অ্যাপস তৈরি করতে পারবেন এবং নানা রকম রেষ্টিকশন থাকে।
তাই App development কে যারা পেশা হিসেবে নিতে চায় তাদের এন্ড্রয়েড ষ্টুডিও এর মাধ্যমেই শিখাই সবচেয়ে উত্তম।
এন্ড্রয়েড ষ্টুডিও দিয়ে অ্যাপস তৈরি করার অনেক টিউটোরিয়াল ইউটিউবে আছে, যার সাহায্যে আমরা খুব সহজে App development এর কাজ শিখতে পারি।
এছাড়াও অনেক ভাল মানের App development এর ভিডিও কোর্স পাওয়া যায়, যেখানে শুন্য থেকে শুরু করে এডভান্স লেভেলের সকল কাজ শিখানো হয়েছে।
App তৈরি করে প্লেস্টোরে কিভাবে পাবলিশ করব?
আমরা এন্ড্রয়েড ষ্টুডিও বা অন্ন কোন উপায়ে যদি কোন অ্যাপ তৈরি করি তাহলে তা মানুষের কাছে প্রচার করার জন্য গুগল প্লেস্টোর বা অন্য কোন এপস্টোরে তা পাবলিশ করতে হবে।
গুগল প্লেস্টোরে অ্যাপ পাবলিশ করার জন্য google play console একাউন্ট তৈরি করতে হয়। গুগল প্লে কোনসোল একাউন্ট তৈরি করার জন্য 25$ সার্বিস ফিস দিতে হয়। এই টাকা একবারেই দিতে হয়।
একবার টাকা দিয়ে একাউন্ট করে নিলে আজীবন অ্যাপ পাবলিশ করা যায়। বাংলাদেশ থেকে প্লে কোনসোল একাউন্ট করার জন্য মাস্টার কার্ডের প্রয়োজন হবে।
বাংলাদেশের অনেক ব্যাংক থেকেই মাস্টার কার্ড নেওয়া যায়, কিন্তু মাস্টার কার্ডে ডলার লোড করার জন্য পাসপোর্ট এর প্রয়োজন হবে।
এছাড়াও ভার্সোয়াল মাস্টারকার্ড দিয়েও গুগল প্লে কোনসোল একাউন্ট তৈরি করা যায় কিন্তু ভার্সোয়াল মাস্টার কার্ড দিয়ে একাউন্ট করা রিস্ক, ভার্সোয়াল মাস্টারকার্ড দিয়ে একাউন্ট করলে, একাউন্ট টারমিনেট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
গুগল প্লে কোনসোল ছাড়াও আরও কিছু এপস্টোরে ফ্রিতে অ্যাপ পাবলিশ করা যায় যেমন Amazon app store।
Apps তৈরি করে আয় করার উপায়
Apps তৈরি করে নানা রকম উপায়ে আয় করা যায়, আপনার তৈরি অ্যাপ যদি জনপ্রিয় করে তুলতে পারেন এবং প্রছুর পরিমানে একটিভ ইউজার থাকে তাহলে অনেক উপায় রয়েছে সেই অ্যাপ থেকে টাকা আয় করার। নিছে অ্যাপ থেকে টাকা আয় করার উপায় সমূহ নিয়ে আলোচনা করা হলো।
১. Advertisement
যদি আপনার অ্যাপ অনেক লোক নিয়মিত ব্যবহার করে এবং প্রছুর পরিমানে ইনস্টল হয় তাহলে সেই অ্যাপে বিজ্ঞাপন ব্যবহার করে টাকা আয় করা যায়। বিজ্ঞাপন দেওয়ার অনেক কম্পানি রয়েছে।
বিজ্ঞাপন দেখিয়ে আয় করার জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় হেচ্ছে গুগল এডমোব, এছাড়াও আপনি চাইলে লোকাল বিজ্ঞাপন দেখিয়েও টাকা আয় করতে পারেন।
আপনার অ্যাপে অন্ন আরেক জনে নতুন অ্যাপের লিংক প্রমোট করেও টাকা আয় করা যায়। বিশেষ কথা হলো আপনার অ্যাপ যদি জনপ্রিয় হয় তাহলে তা থেকে আয় করার অনেক উপায় রয়েছে।
অ্যাপসে বিজ্ঞাপন দেয় এমন অয়েব সাইটগুলো হল:
১. Admob
২. Facebook audience network
৩. AppLovin
৪. Vungle
৫. AdColony
৬. Appnext
২. In-App Purchases
In-App Purchases হলো আপনার অ্যাপে কিছু নির্দিস্ট সেবা আপনি লক করে রাখবেন ইউজার যদি সেগুলো ব্যবহার করতে চায় তাহলে টাকা দিয়ে তা ব্যবহার করতে হবে।
বর্তমান সমেয় অনেক অ্যাপ In-App Purchases ব্যবহার করে টাকা আয় করছে যেমন, পটো ইডিট, গেমস, ভিডিও ইডিটিং ইত্যাদি অ্যাপে In-App Purchases ব্যবহার করা হয়।
৩. Subscription
Subscription হলো আপনার অ্যাপস এর সেবা ব্যবহার করার জন্য ১ মাস বা ১ বছরের জন্য ইজার নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দিয়ে ব্যবহার করতে পারবে। বর্তমান সময়ে অনেক অ্যাপস Subscription ব্যবস্থা ব্যবহার করে টাকা আয় করছে যেমন , ভিপিএন, টিভি অ্যাপস ইত্যাদি।
৪. Affiliate marketing
অ্যাপস এর মাধ্যমে ইকমার্স অয়েব সাইটের পন্য বিক্রি করাকে Affiliate marketing বলে বর্তমান সময়ে অনলাইনে কিনাকাটা প্রছুর পরিমানে বৃদ্ধি পেয়েছে এখন মানুষ ঘরে বসেই তাদের প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র অনলাইনে মাধ্যমে অর্ডার করে কিনে থাকে।
আপনি যদি আপনার অ্যাপ এর মধ্যে অন্য কারও সার্বিস বা প্রডাক্টের লিংক শেয়ার করেন তাহলে অ্যাপ থেকে এই সমস্ত লিংকে ক্লিক করে যদি সেই প্রডাক্ট কেউ ক্রয় করে তাহেলে আপনি নির্দিস্ট পরিমাণে কিছু কমিশন পবেন।
আরও পড়ুন