কম্পিউটার ভাইরাস কি? কম্পিউটার কে কিভাবে ভাইরাস থেকে মুক্ত রাখা যায়?
কম্পিউটার ভাইরাস কি?
আমরা অনেকেই জানিনা কম্পিউটার ভাইরাস কি, কম্পিউটার ভাইরাস হচ্ছে একটি কম্পিউটার প্রোগ্রাম, এটি কম্পিউটার প্রোগ্রামাররা কম্পিউটারের ক্ষতি করার জন্য তৈরি করে থাকে। এই ভাইরাস কম্পিউটারে প্রবেশ করলে বা কম্পিউটার এই ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হলে সেই কম্পিউটারের অনেক ক্ষতি সাধন করে থাকে।
যেমন, কমিউটারের অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ছুরি করে নেয়, কম্পিউটারের অনেক ফাইল ডিলেট করে দেয় এবং কম্পিটারের কার্যক্রম পুরো অকেজো করে দেয়।কম্পিউটার ভাইরাস সাধারণত নানা রকম হ্যাকিং কাজ করার জন্য তৈরি হয়ে থাকে।
নানা রকম উপায়ে কম্পিউটারে ভাইরাস প্রবেশ করে, ১.ইন্টারনেট থেকে, ২ পেনড্রাইভ বা মেমোরির মাধ্যমে, ৩ সফটওয়ার এর মাধ্যমে। নিম্নে এগুলো সম্বন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
ইন্টারনেট থেকে
কম্পিউটারে ভাইরাস নানা রকম উপায়ে প্রবেশ করতে পারে যেমন, ইন্টারনেট থেকে কোনো খারাপ অয়েবসাইট ভিজিট করলে বা সেখান থেকে কোন ফাইল ডাউনলোড করলে কম্পিউটারে ভাইরাস প্রবেশ করে।
ইন্টারনেট থেকে ইমেইলের মাধ্যমেও ভাইরাস ছড়িয়ে থাকে, অপরিচিত কারো কাছ থেকে কোনো ইমেইল আসলে এবং সেটির সাথে যদি কোন এটাস ফাইল যুক্ত থাকে সেটি ডাউনলোড করলেও কম্পিউটার ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে।
পেনড্রাইভ বা মেমোরির মাধ্যমে
পেনড্রাইভ বা মেমোরির মাধ্যমেও কম্পিউটারে ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে, যদি কোন ভাইরাসে আক্রান্ত কোন কম্পিউটারে পেনড্রাইভ বা মেমোরি প্রবেশ করানো হয় এবং সেই মেমোরি যদি অন্য কোনো ভালো কম্পিউটারে সংযুক্ত করলেই সেই ভালো কম্পিউটারও ভাইরাসে আক্রান্ত হবে।
সফটওয়ার এর মাধ্যমে
সফটওয়ারের মাধ্যমেও কম্পিউটারে ভাইরাস প্রবেশ করে থাকে। বিশেষ করে যদি কোনো পেইড সফটওয়ারের ক্র্যক করা ফ্রি ভার্সন ব্যবহার করা হয় তাহলেও কম্পিউটার ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই আমাদের উচিত কোনো ক্র্যক সফটওয়ার ব্যবহার না করা।
কম্পিউটার কে কিভাবে ভাইরাস মুক্ত রাখা যায়?
বর্তমান সময়ে কম্পিউটার আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি গুরুত্ব পূর্ণ অঙ্গ হয়ে দারিয়েছে। আমরা আমাদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ এখন কম্পিউটারের মাধ্যমে করে থাকি। তাই আমাদের কম্পিউটারটি যদি ভালো না থাকে বা যদি নষ্ট হয়ে যায় তাহলে আমরা খুবেই সমস্যায় পড়ি।
কম্পিউটারের প্রধান শত্রু হচ্ছে ভাইরাস, কম্পিউটার ভাইরাস কি তা আমরা দেখতে পারি না, সেটা দেখার জন্য এন্টিভাইরাস সফটওয়ারের প্রয়োজন হয়। কম্পিউটার সাধারণত ভাইরাসের কারণেই বেশি সমস্যা হয়। তাই আমাদের কম্পিউটার কে ভাইরাস থেকে মুক্ত রাখতে হবে।
কম্পিউটার কে ভাইরাস থেকে মুক্ত রাখার জন্য অবশ্যই এন্টিভাইরাস সফটওয়ার ব্যবহার করতে হবে। বর্তমানে অনেক এন্টিভাইরাস সফটওয়ার পাওয়া যায় তার মধ্যে কিছু আছে যেটি টাকা দিয়ে ব্যবহার করতে হয় এবং কিছু আছে বিনামূল্যে ব্যবহার করা যায়।
আমি নিম্নে কিছু ফ্রি এবং পেইড এন্টিভাইরাসে লিং প্রধান করছি এবং তার মধ্যে ফ্রি এন্টিভাইরাসের মধ্যে ভালো সেটি সম্বন্ধে আলোচনা করেছি।
9. 360 Total security Antivirus
এই এন্টিভাইরাস গুলোর মধ্যে ফ্রি এবং পেইড দুটই রয়েছে। আমি আপনারদের সাথে আলোচনা করব ফ্রি এন্টিভাইরাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভালো কোনটি কাজ করে।
আমি পার্সনালি কোন পেইড এন্টিভাইরাস ব্যবহার করি না, আমি প্রায় ১৫ বছর যাবত কম্পিউটার ব্যবহার করছি এখনো কোনো ভাইরাসে আমার কম্পিউটারের কোনো ক্ষতি করতে পারেনি। তাই আমি যেই ফ্রি এন্টিভাইরাস গুলো ব্যবহার করে সুফল পেয়েছি তা আপনাদের সাথে আলোচনা করব।
আপনার কম্পিউটারের কিনফিগারেশন যদি ভালো হয়, যেমন প্রসেসর cor i3 এর উপরে থাকে তাহলে আমি সাজেষ্ট করব Avast free autivirus টি ব্যবহার করুন। আমি নিজেই এটি অনেকদিন যাবত ব্যবহার করছি, ফ্রি এন্টিভাইরাসের মধ্যে এটি সবচেয়ে ভালো কাজ করে, এবং কম্পিউটারে ভাইরাস প্রবেশ করার সাথে সাথেই ডিটেক্ট করতে পারে।
কিন্তু আপনার কম্পিউটার বা ল্যাপটপ যদি cor i3 এর নিছে হয় তাহলে এটি ব্যবহার করলে সুফলের পরিবর্তে কুফলেই বেশি পাবেন। আপনার কম্পিউটার হ্যাং করবে কোনো কাজ ভালোভাবে করতে পারবেন না। তাই যদি cor i3 এর উপরে হয় তাহলে আপনি Avast free autivirus টি ব্যবহার করতে পারবেন।
আর যাদের কম্পিউটার বা ল্যাপটপ cor i3 এর নিছে তারা 360 Total security Anivirus ব্যবহার করতে পারেন। ফ্রি এন্টিভাইরাসের মধ্যে এটিও ভালো কাজ করে। আমি আমার একটি পুরোনো ল্যাপটপে 360 Total security Anivirus ব্যবহার করি এবং ভালো সুফল পাচ্ছি। এটি ভাইরাসও ডিলেট করবে এবং আপনার কম্পিউটার কোন হ্যাং বা স্লো করবে না।
কিভাবে বুঝব আমার কম্পিউটার ভাইরাসে দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে কিনা
কম্পিউটারে ভাইরাসে আক্রান্ত হলে অনেক সময় সেটি সাথে সাথে বুঝা যায় না । কম্পিউটারে ভাইরাসে আক্রান্ত হলে আপনি কোন প্রোগ্রাম ঠিকটাক ভাবে রান করতে পারবেন না, অনেক সময় আপনার কম্পিউটার নিজে থেকেই বন্ধ হবে চালু হবে।
অনেক ফাইল বা ফোল্ডার নিজে থেকেই ডিলেট হয়ে যাবে। এবং কিছু কিছু ভাইরাস আছে যেগুলো হ্যাকাররা তৈরি করে থাকে মানুষকে ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার জন্য।
এই সমস্ত ভাইরাস আপনার কম্পিউটারে প্রবেশ করলে আপনার সকল ফাইল বা ফোল্ডার লক করে দিবে আপনি সেটি অপেন করতে চাইলে বলবে যদি তাদেরকে টাকা দেওয়া হয় তাহলে এটি ঠিক হয়ে যাবে। এবং কিছু কিছু ভাইরাস আপনার পাসওয়ার্ড ও ক্রেডিট কার্ডের তথ্যও ছুরি করে নেয়।
আরও পড়ুন